
মর্গে রাখা নারীদের ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় গ্রেফতার মুন্না ভগতের আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়ার আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। রোববার সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এএসআই ফারুক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রিমান্ড শেষে আসামি মুন্নাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আসামি মুন্না স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এরপর আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। তারপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে গত ২৫ জানুয়ারি আসামি মুন্না ভগতকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এবং প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও ধর্ষণের ঘটনায় মূল হোতাকে শনাক্ত করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার এসআই মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম পৃথক দুই মামলায় আসামি মুন্নার সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত শুনানি শেষে দুই মামলায় দুই দিন করে মোট চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১০ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই মো. আল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর গত ২৫ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানার এসআই সনজিৎ কুমার ঘোষ বাদী মুন্নার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এর আগে গত ২০ নভেম্বর সিআইডির করা মামলায় আসামি মুন্না আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এদিন মুন্না স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদের আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৯ নভেম্বর সিআইডির ইন্সপেক্টর জেহাদ হোসেন বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, মুন্না ভগত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। এ রকম একটি অভিযোগ পেয়ে মুন্নার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
ঢাকা অফিস
সম্পাদক : মোঃ ইয়াসিন টিপু
নাহার প্লাজা , ঢাকা-১২১৬
+৮৮ ০১৮১৩১৯৮৮৮২ , +৮৮ ০১৬১৩১৯৮৮৮২
shwapnonews@gmail.com
পরিচালনা সম্পাদক : মিহিরমিজি