
চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তার বান্ধবী ফারজানা জামান নেহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছেন পুলিশ।
আজ শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি হারুন অর রশীদ তার কার্যালয়ে এই বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন। রিমান্ডে নেহার কাছ চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে করতেন ডিজে পার্টির আয়োজন করতেন নেহা। চলত মদের উৎসব নাচ, গান। সেখানে দাওয়াত পেত সমাজের উচ্চ বিত্তের সন্তানরা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকায় সপ্তাহে তিনদিন বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাতে বাসা বা বিভিন্ন হোটেলে ডিজে পার্টির নামে অরাজকতা ছড়িয়ে পরে। পার্টিতে অনেকে মদ খাচ্ছেন। এতে অনেকে বিষাক্ত মদ খেয়ে অসুস্থ হচ্ছেন বা মারা যাচ্ছেন। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে এই ধরণের মদ যারা বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। আমাদের অভিযান চলছে। যারা ডিজে পার্টি, মদ পার্টির আয়োজক, যারা মদ বহন করে পৌঁছে দেয় তাদের আমরা খুঁজে বের করছি।
উল্লেখ্য, ইউল্যাব ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি তার দুই বন্ধু মুর্তজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীরের (২১) পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই দিনই ৪ জনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন নিহত তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।
আরো পড়ুন…ইউল্যাব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ-হত্যা : বান্ধবী নেহার পাঁচদিনের রিমান্ড
কখনো ঠোটে শিশার পাইপ আবার কখনো হাতে দামি বিদেশী মদের বোতলও দেখা যেত নেহাকে। পরিধান করতেন দামি দামি সব ড্রেস। ব্যবহার করতেন দামি ব্রান্ডের সব মেকআপ।
ডিসি হারুন অর রশীদ বলেন, নেহা প্রতি রাতে ডিজে পার্টি করেন। সারা রাত বাইরে থাকেন। এই ডিজে পার্টির আড়ালে অন্য কোনও ব্যবসা আছে কিনা অথবা তার অন্য কোনও পেশা কী, তার ইনকাম সোর্স কী, তার সঙ্গে কাদের সম্পর্ক আছে এসব নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মাধুরীর বাবার করা মামলায় প্রত্যেক আসামিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া আরও যদি কেউ জড়িত থাকে তাদেরও গ্রেপ্তার করব।
আরো পড়ুন…এমন বেহায়াপনা দেখে আমি নিজেকে আর অপবিত্র করবো না, বললেন সিএনজি চালক
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী এবং রায়হান একসঙ্গে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বু সুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান। মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিলেন।
ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খান কোকোকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
ঢাকা অফিস
সম্পাদক : মোঃ ইয়াসিন টিপু
নাহার প্লাজা , ঢাকা-১২১৬
+৮৮ ০১৮১৩১৯৮৮৮২ , +৮৮ ০১৬১৩১৯৮৮৮২
shwapnonews@gmail.com
পরিচালনা সম্পাদক : মিহিরমিজি