
মিয়ানমারে রোববার জান্তা সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৭১ জন হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এর আগে একদিনে আর এত মানুষ নিহত হয়নি। সবমিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ১৬৭ জন নিহত হয়েছে।
রোববার নিহত হওয়াদের অধিকাংশই ইয়াঙ্গুনের পশ্চিমে হ্লেইং থারইয়ার টাউনশিপের বাসিন্দা। সেখানে বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী তাজা গুলি, কাঁদানে গ্যাস এবং স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করেছে। সোমবার যে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে রোববার রাতে পাথেইনে গুলিবিদ্ধ হওয়া তিনজন রয়েছে।
এর আগে দ্য ইরাবতী রোববার রাতে ইয়াঙ্গুনের নয়টি টাউনশিপ- হ্লেইং থারইয়ার, শেপইথার, নর্থ ওক্কালাপা, সাউথ দাগোন, ইনসেইন, হ্লেইং, থিনগানগুন, কিমিনদায়েং এবং নর্থ ডাগোন এবং বাগো অঞ্চল, কাচিন রাজ্যের হপাকান্ত এবং মান্দালায় অঞ্চলে ৩৯ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে।
হ্লেইং থারইয়ার টাউনশিপের একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, সোমবার তাদের কাছে ৩৭ জনের মৃতদেহ এসেছে। এসময় প্রায় ৪০ জনকে আহতাবস্থায় ভর্তি করা হয়। ইয়াঙ্গুনের আরেকটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের কাছে সাতজনের মৃতদেহ এসেছে। আর ৫৬ জন আহত ব্যক্তিকে ভর্তি করা হয়েছে।
লাইংথাইয়া শিল্প এলাকায় চীনের অর্থায়নে পরিচালিত কয়েকটি কারখানায় রোববার আগুন দেয়া হয়। এরপরই বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হয় নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সেখানে প্রায় দুই ডজন মানুষের মৃত্যু হয়। যদিও কেউ কারখানা পোড়ানোর দায় স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। নভেম্বরে দেশটির সাধারণ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)। কিন্তু এরপরই নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ আনে সেনাবাহিনী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
ঢাকা অফিস
সম্পাদক : মোঃ ইয়াসিন টিপু
নাহার প্লাজা , ঢাকা-১২১৬
+৮৮ ০১৮১৩১৯৮৮৮২ , +৮৮ ০১৬১৩১৯৮৮৮২
shwapnonews@gmail.com
পরিচালনা সম্পাদক : মিহিরমিজি