মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ধর্ষণকারী আবুল হাসান (২২) নামের এক যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার কলেজ ছাত্রী এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে গত ১ মার্চ মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ধর্ষক আবুল হাসানের বিরুদ্ধে পিটিশন মামলা দায়ের করেন।

পিটিশন মামলা নং- ৩৮/২০২১ইং। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মৌলভীবাজার সিআইডি পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়,কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের উত্তর কানাইদেশী গ্রামের আব্দুল হান্নানের কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে কলেজে আসা-যাওয়ার সময় উত্যক্ত করতো একই গ্রামের মো.আব্দুল মালিকের ছেলে আবুল হাসান।
গত বছরের শুরু থেকে ওই যুবক তাকে উত্যক্ত করছিল। এবং প্রতিবেশী হওয়াতে প্রায় সময় কলেজ ছাত্রীর বসত বাড়িতে এসে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করত। বিষয়টি কলেজ ছাত্রী তার বাবাকে জানালে তিনি এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে কলেজ ছাত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আবুল হাসান।

এক পর্যায়ে গত বছরের ২ আগষ্ট সকালে কলেজ ছাত্রীর বাবা মা তার নানা বাড়িতে বেড়াতে গেলে আবুল হোসেন কলেজ ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এবং ঘটনাটি কাউকে না বললে তাকে বিবাহ করার কথা জানায় হাসান।
পরবর্তীতে ওই কলেজ ছাত্রী তাকে বিবাহ করার কথা বললে হাসান নানা টালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে আপোষ মীমাংসার নামে সময় ক্ষেপন করা হয়। এভাবে কেটে যায় প্রায় ৭ মাস।
বাধ্য হয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী। পুলিশ অভিযোগ গ্রহন না করে আদালতে মামলা দায়েরের পরামর্শ দিলে তিনি গত ১ মার্চ মৌলভীবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে পিটিশন মামলা করেন।

আলাপকালে কলেজ ছাত্রীর বাবা বলেন, হাসান আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এখন মেয়েটা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি এর বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে আবুল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে অভিযুক্ত আবুল হাসানের বাবা মুঠোফোনে বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। চাকরি করার সুবাদে ৭ বছর ধরে বাড়ির বাহিরে। আমার ছেলেকে ওই মেয়ে কি করনে ফাঁসাতে চায় সেটা বুঝে উঠতে পরছিনা।