
ঠিকানা ছিল পার্টি সেন্টার। পার্টি, মদ, গান-বাজনা ও আভিজাত্যে ডুবে থাকা ফারজানা জামান নেহা ওরফে ডিজে নেহার বর্তমান ঠিকানা ১৪ শিকের ঘর- কারাগার। রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠান আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত এই আদেশ দেন। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কারাগারে পাঠানোর আগে রিমান্ড শেষে আসামি নেহাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত এ মামলায় বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. সাজেদুল হক মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জামিলকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে নেহার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার এজাহারের তথ্যানুযায়ী, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। আরাফাতের বাসায় স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান একসঙ্গে উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। ধর্ষণের পর রাতে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন।
সেই বন্ধু পরদিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গত ৩০ জানুয়ারি তরুণী মারা যান। ওইদিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় নিহত তরুণীর বাবা বাদী হয়ে চারজনসহ অজ্ঞাত আরো একজনের নামে মামলা করেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
ঢাকা অফিস
সম্পাদক : মোঃ ইয়াসিন টিপু
নাহার প্লাজা , ঢাকা-১২১৬
+৮৮ ০১৮১৩১৯৮৮৮২ , +৮৮ ০১৬১৩১৯৮৮৮২
shwapnonews@gmail.com
পরিচালনা সম্পাদক : মিহিরমিজি