
করোনার ধাক্কা সামাল দিয়ে উঠতে না উঠতেই ফুল ব্যবসায়ীরা পড়েছেন নতুন সংশয়ে। শীত মৌসুমে সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা থাকলেও করোনার কারণে তা মুখ থুবড়ে আছে। ফেব্র“য়ারিতে পয়লা ফাল্গন, ভ্যালেন্টাইনস ডে ও মহান একুশে ফেব্র“য়ারির দিন ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা কোনও আশা দেখছেন না। দিবসগুলো উপলক্ষে বিশেষ প্রস্তুতিও নেই তাদের। দেশের ফুল ব্যবসায়ীদের সংগঠনগুলোর দেওয়া তথ্যমতে, দেশে বছরে প্রায় ১২শ থেকে ১৫শ কোটি টাকার ফুলের ব্যবসা হয়। কিন্তু করোনায় বিক্রি কমেছে অর্ধেকেরও বেশি। মহামারিতে ৭০০ কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানে বিধিনিষেধ থাকায় ফুলের চাহিদা কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাই ফাল্গ–ন ও ভ্যালেন্টাইন দিবসে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা নেই তাদের। ফুল ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর তথ্যমতে, দেশের প্রায় ২৩ জেলায় ফুলের চাষ হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার সাভার। সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় যশোরে। দেশের চাহিদার তিন ভাগের দুই ভাগই উৎপাদন হয় এই জেলায়।
দেশে সাধারণত গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুল উৎপাদন হয়। এ ছাড়াও লংস্টিক রোজ, লিলিয়াম, জারবেরা, স্টোমা, কার্নিশনসহ কয়েক জাতের ফুল আমদানি করা হয়। ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, সারাদেশে বর্তমানে ৬ হাজারের বেশি ছোট-বড় ফুলের দোকান আছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতেই রয়েছে সাড়ে ছয় ’শ। তবে বিশেষ দিবসকে কেন্দ্র করে রাজধানীর পাড়া মহল্লায় নতুন নতুন ফুলের দোকান হয়। রাজধানীর শাহবাগ এলাকার ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফুল ব্যবসায় এখন মন্দাবস্থা। ফুল পর্যাপ্ত থাকলেও ক্রেতা নেই। অনুষ্ঠান কমে যাওয়ায় বিশেষ কাজ ছাড়া কেউ ফুল কিনছে না। শাহবাগের মালঞ্চ পুষ্প কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী জানান, বিক্রি নেই। প্রতিদিন পকেট থেকে টাকা দিয়ে দোকান চালাতে হচ্ছে। বিক্রি না হলেও দিনে হাজার টাকা খরচ ঠিকই আছে। শাহবাগ বটতলা ক্ষুদ্র ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, করোনার ভয়ে ভালোবাসা দিবস, পয়লা ফাল্গ–নসহ সমস্ত দিবসেই সবার সঙ্গে সবার বিচ্ছিন্নতা আছে। অক্টোবর থেকে পরের বছরের মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের সিজন। করোনার কারণে এই সিজনের টাইমে আমাদের দম ফেলার সময় থাকার কথা নয়। অথচ আমরা বসে আছি। প্রতিদিনই পাঁচ ’শ থেকে হাজার টাকার লস আছে প্রত্যেক দোকানির। আপাতত অন্য কিছু করেই তাদের চলতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সচেতন মানুষ তো আর পয়লা ফাল্গ–ন করবে না। করলেও সংখ্যায় অল্প, সেটা দিয়ে আমাদের ব্যবসা চলবে না। ভ্যালেন্টাইন নিয়েও আমাদের আলাদা কোনও চিন্তা নেই।
দেশের ফুল ব্যবসায়ীদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, ফাল্গ–ন ভ্যালেন্টাইনের জন্য প্রস্তুতি আমাদের আছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্টোর মালিকরা ঠিকমতো যত্ন না নেওয়ায় ফুলের বীজ নষ্ট হয়েছে। যে কারণে ফুলের উৎপাদন একটু কম। অনেক কৃষক করোনার কারণে ফুল চাষ বাদ দিয়ে ধান চাষ করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা বলতে পারছি না। ২০-২৫ দিন বাজার খুব খারাপ থাকলেও গত কয়েকদিন ভালোর দিকে। সারাদেশে কোনও সামাজিক অনুষ্ঠান নেই। স্কুল-কলেজ বন্ধ। এগুলো খোলা থাকলে একুশে ফেব্র“য়ারিতেও অনেক ফুল বিক্রি হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
ঢাকা অফিস
সম্পাদক : মোঃ ইয়াসিন টিপু
নাহার প্লাজা , ঢাকা-১২১৬
+৮৮ ০১৮১৩১৯৮৮৮২ , +৮৮ ০১৬১৩১৯৮৮৮২
shwapnonews@gmail.com
পরিচালনা সম্পাদক : মিহিরমিজি