
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আপনারা জেনে তাজ্জব হবেন, আমেরিকা থেকে কিছু মানুষ বাংলাদেশে করোনার ভ্যাকসিন নিতে আসছেন। আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনারা আমেরিকা থেকে দেশে আসছেন কেন? তখন তারা বলেন, আমেরিকায় কত দিন পরে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, তার ঠিক নেই। তাই এই সময় আমরা দেশে এলাম এবং ভ্যাকসিনও নিলাম। তারা প্রবাসী, এক মাসের জন্য ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় মহাখালীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে বিদেশি কূটনীতিকদের করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এসব কথা বলেন। তিনি নিজেও এখানে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন।
করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, অনেক উন্নত দেশ এখনো ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। প্রতিটা লোককে আমরা ভ্যাকসিন দিতে চাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, একটা লোকও যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলে এই রোগ নির্মূল হবে না। আমরা শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে করোনাভাইরাস নির্মূল করবো।
বিশ্বের অনেক দেশে আলজাজিরা নিষিদ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আলজাজিরায় মতো একটি বড় সংস্থা এত মিথ্যা কথা বলতে পারে। এত বানোয়াট গল্প বলতে পারে? তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।’ আলজাজিরার প্রতিবেদন জনগণ গ্রহণ করেনি দাবি করে তিনি বলেন, এ ধরনের মিথ্যাবাদী মিডিয়া থাকা উচিত নয়। তাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। মিথ্যা বলা তাদের বন্ধ করা উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আলজাজিরার সঙ্গে আরেকটি সংস্থা হচ্ছে নেত্র, তারা বলেছিল বাংলাদেশে করোনায় ৫০ লাখ থেকে এক কোটি লোক মারা যাবে। এখন পর্যন্ত ৮ হাজারের কিছু বেশি লোক মারা গেছে। তারা ঘরে বসে বসে চিন্তা করে। দেশ সম্পর্কে তাদের কোনো জ্ঞান নেই। এসব কিছুর মূল কারণ হচ্ছে বাংলাদেশকে অসুবিধায় ফেলা। এরা ষড়যন্ত্র করে সরকারের বদনাম করে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।
ঢাকা অফিস
সম্পাদক : মোঃ ইয়াসিন টিপু
নাহার প্লাজা , ঢাকা-১২১৬
+৮৮ ০১৮১৩১৯৮৮৮২ , +৮৮ ০১৬১৩১৯৮৮৮২
shwapnonews@gmail.com
পরিচালনা সম্পাদক : মিহিরমিজি